Saturday, August 23, 2025

দান-খয়রাত, সাদাকা ইত্যাদি করার ফজিলত...

আয়াত (সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত ১৭)

إِن تُقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ۚ وَاللَّهُ شَكُورٌ حَلِيمٌ

বাংলা অনুবাদ

“তোমরা যদি আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করো, তবে তিনি তা তোমাদের জন্য বহু গুণ বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ অতিশয় কৃতজ্ঞ, অতি সহনশীল।”

তাফসীর ও ব্যাখ্যা

১. “আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান” এর অর্থ কী?

এখানে “ঋণ” বলতে বোঝানো হয়েছে আল্লাহর পথে দান-খয়রাত, সদকা, জাকাত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যয় করা।

যেহেতু মানুষ আসলে যা ব্যয় করে সবই আল্লাহর দেওয়া, তবুও আল্লাহ দয়ার কারণে একে “ঋণ” বলেছেন। যেন মানুষ মনে করে – এটা হারিয়ে যায়নি, বরং আল্লাহর কাছে জমা হয়ে আছে।

২. “উত্তম ঋণ” (قرضًا حسنًا)

বিশুদ্ধ নিয়তে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, রিয়া (দেখানো), স্বার্থ কিংবা কষ্ট না দিয়ে দান করা।

যেমন: অসহায়কে সাহায্য করা, দ্বীনের কাজে খরচ করা, এতিম, গরীব, মাদ্রাসা/মসজিদে সাহায্য ইত্যাদি।

৩. “ইউদ্বা’ইফহু লাকুম” – আল্লাহ গুণ বাড়িয়ে দিবেন

আল্লাহ তা দুনিয়া ও আখিরাতে বহুগুণে ফিরিয়ে দেন।

অন্য আয়াতে (সূরা বাকারা ২:২৬১) বলা হয়েছে: “একটি দানা সাত শিষ উৎপন্ন করে, প্রতিটি শিষে একশ’ দানা থাকে; আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, তার জন্য আরও বাড়িয়ে দেন।”

অর্থাৎ ১ টাকার দান আখিরাতে শত শত গুণে বৃদ্ধি পাবে।

৪. “ওয়া ইয়াগফির লাকুম” – এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন

দান-খয়রাতের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন।

অর্থাৎ দান শুধু সম্পদ বৃদ্ধি নয়, বরং আত্মার পরিশুদ্ধি ও গুনাহ থেকে মুক্তিরও মাধ্যম।

৫. আল্লাহর দুটি সুন্দর গুণের উল্লেখ

শাকুর (شكور) – বান্দার সামান্য আমলও তিনি অনেক গুণে বাড়িয়ে প্রতিদান দেন।

হালীম (حليم) – বান্দারা কখনো দান না করলেও, গুনাহ করলেও তিনি তৎক্ষণাৎ শাস্তি দেন না, বরং ধৈর্য ধারণ করেন, সময় দেন তাওবার জন্য।

সারসংক্ষেপ

এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয় যে—

দান-খয়রাত আসলে “আল্লাহকে ঋণ দেওয়া”র সমান।

বিশুদ্ধ নিয়তে দান করলে আল্লাহ তা বহুগুণে ফিরিয়ে দেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন।

দান শুধু গরীবের জন্য নয়, দানকারী নিজেকেও আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও জান্নাতের যোগ্য করে তোলে।

Wednesday, August 20, 2025

Conducted Training on Information Security Awareness

Information Security Division, in collaboration with the Learning & Development Centre (LDC), successfully arranged an Information Security Awareness Program on 20th August 2025.
Participants: 29 officials of the Trade Finance Operations (TFO) Team attended the session physically, while approximately 120 employees joined online.

Session Details: The awareness session was conducted from 9:00 AM to 9:45 AM.

Objective: The program was organized in line with Bangladesh Bank’s audit compliance requirements, with a particular focus on employees engaged in foreign currency transactions.

This initiative aimed to strengthen employees’ understanding of information security protocols and reinforce the Bank’s commitment to compliance and risk mitigation.

I would like to express my heartfelt thanks to Adiba Fariha, Feroze Ahamed Bhuiyan Bhai and Masud Rayhan (Head of LDC) for the cordial cooperation and arrangement. 


Sunday, August 17, 2025

সোনার ডিম পাড়া হাঁস ও লোভের পরিণতি

একদা একজন সৎ ও কর্মঠ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আর্থিকভাবে খুব স্বাবলম্বী না হলেও, সৎ উপার্জনে তার জীবন সুন্দরভাবেই চলছিল। তিনি সর্বদা উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন।

তার সততা ও পরিশ্রমে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ তাকে একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস দান করলেন। হাঁসটি প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম দিত। এগুলো বিক্রি করে লোকটির অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হতে লাগল। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সম্পদশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন।

কিন্তু যতই ধনী হচ্ছিলেন, ততই তার অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা ও আস্থা হারিয়ে যাচ্ছিল। একসময় লোভে অন্ধ হয়ে তিনি প্রতিদিন একটি করে ডিমে আর সন্তুষ্ট থাকতে পারলেন না। তার মনে হলো—“একবারেই সব ডিম পেয়ে ধনী হয়ে যাব।”

সে হাঁসটিকে জবাই করল, ভেবেছিল পেটের ভেতর অনেক সোনার ডিম জমা আছে। কিন্তু বিধিবাম! হাঁসের পেটে কিছুই ছিল না। হাঁসটিও মারা গেল, আর সোনার ডিমও আর কখনো পাওয়া গেল না। হতাশ হয়ে লোকটি আফসোস করতে লাগল—“আগে প্রতিদিন একটি করে ডিম পেতাম, জীবনে সুখ ছিল। এখন হাঁসটিও নেই, ডিমও নেই। আমার তো সবই শেষ!”

এই গল্প শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং অনেক সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাধরদের সঙ্গেও মিলে যায়। শুরুতে সৎ প্রচেষ্টায় তারা ক্ষমতার সুযোগ পায়—যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। কিন্তু ধীরে ধীরে কৃতজ্ঞতা ভুলে গিয়ে যখন লোভ, অধৈর্য্য ও অন্যায়ে লিপ্ত হয়, তখন একসময় তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়—সম্পদ, মানসম্মান, ক্ষমতা সবই।

আসলে সবকিছুই আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। যিনি দিয়েছেন, তিনিই চাইলে তা ফিরিয়ে নিতে পারেন। তাই যারা তাঁর আশীর্বাদকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে এবং কৃতজ্ঞ থাকবে, তারা বরকত পাবে। আর যারা লোভে ও প্রতারণায় অন্ধ হবে, তাদের অবস্থা ওই হাঁস মারা লোকটির মতোই হবে—“আমও গেল, ছালাও গেল।”

Tuesday, August 12, 2025

Information Security is Action! not... commitment

Journalist Anas Al-Sharif had died due to the brutal bombardment of the barbaric and illegitimate state of Israel

Under the brutal bombardment of the barbaric and illegitimate state of Israel, the flame of life of fearless journalist Anas Al-Sharif—steadfast in truth and unwavering in the path of justice—has been extinguished.

Until his very last moment, he stood firm on the side of truth, without a hint of compromise.

May Allah shower His infinite mercy upon the people of Gaza and grant the martyrs the highest honor.

One day, #Palestine will be free — Insha’Allah.

#FreePalestine | 🕊 #SaveGaza | 🌍 #SaveHumanity


Sunday, August 10, 2025

The Information Security Division, in collaboration with the Learning & Development Centre (LDC), successfully conducted an Information Security Awareness Program on 10th August 2025...

The Information Security Division, in collaboration with the Learning & Development Centre (LDC), successfully conducted an Information Security Awareness Program on 10th August 2025.

The session was specifically arranged for 32 participants from the Financial Institutions and Offshore Banking Unit, as well as the Treasury Front and Mid Office in compliance with Bangladesh Bank’s audit requirements, particularly addressing employees engaged in foreign currency transactions.

The 45 minutes awareness session, held from 6:00 PM to 6:45 PM, aimed to enhance participants’ understanding of information security protocols, promote best practices, and ensure alignment with regulatory compliance standards.

Our heartfelt thanks to the #UCB LDC Team, especially Adiba Fariha, LDC and Masud Rayhan (Head of LDC), for their kind and cordial support.

Tuesday, August 5, 2025

একটি জাতির মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, কর্তব্যপরায়ণতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি।

৩০ জুলাই ২০২৫ — রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে, কামচাটকা উপদ্বীপ সংলগ্ন পেট্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহরের প্রায় ১২৫–১৩৬ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে একটি ভয়াবহ ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূকম্পনের গভীরতা ছিল মাত্র ১৯.৩ কিমি, যা এটিকে আরও বিধ্বংসী করে তোলে। আধুনিক কালের ইতিহাসে এটিকে শীর্ষ ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঠিক মুহূর্তেই, পেট্রোপাভলোভস্কের একটি হাসপাতালে রুশ চিকিৎসক দল একটি জটিল অস্ত্রোপচারে নিয়োজিত ছিলেন। মাটির তীব্র কম্পন, কাঁচ ভেঙে পড়া, যন্ত্রপাতির কাঁপুনির মাঝেও তাঁরা দায়িত্ব থেকে একচুলও বিচ্যুত হননি। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তাদের নৈতিক দায়িত্ব ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে, রোগীর প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসা চালিয়ে যান।

এই ঘটনা শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের নয়, বরং একটি জাতির মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, কর্তব্যপরায়ণতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি।

আমি এই প্রসঙ্গে আর কিছু বলতে চাই না — বিশেষ একটি দেশের কথা উল্লেখ করতেও চাই না।
বাকিটা আপনার বিবেক, চেতনা ও বাস্তবতা বুঝে নিজেই ভেবে নিন।

https://www.facebook.com/share/r/16noFQHUpG/

ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম, যা ন্যায়বিচার, সহনশীলতা এবং মানবাধিকারের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে।

ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম, যা ন্যায়বিচার, সহনশীলতা এবং মানবাধিকারের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে। নন-মুসলিমদের বাড়িঘর ভাঙচুর, নির্যাতন বা উচ্ছেদের মতো কর্মকাণ্ড ইসলামের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী।

কোরআনের দৃষ্টিকোণ থেকে:

১. ধর্মে জোরজবরদস্তি নেই
﴿لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ﴾

> “ধর্মে কোনো জবরদস্তি নেই।”
📖 [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৬]

➡️ ইসলাম কখনো কাউকে ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করতে বলে না। অতএব, অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর জুলুম বা উচ্ছেদ – এটা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।

২. অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষা

> “আর যদি আল্লাহ্‌ মানুষকে একে অপরের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে ভেঙে ফেলা হতো অনেক গির্জা, উপাসনালয়, সিনাগগ ও মসজিদ, যেগুলোতে আল্লাহ্‌র নাম অধিক স্মরণ করা হয়।”
📖 [সূরা হজ্জ, আয়াত ৪০]

➡️ ইসলাম শুধু মসজিদ নয়, অন্য ধর্মের উপাসনালয়ের নিরাপত্তাও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।

৩. ন্যায়বিচার বজায় রাখা

> “আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে সেই সমস্ত লোকের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও ন্যায়বিচার করতে নিষেধ করেন না, যারা ধর্ম বিষয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে না কিংবা তোমাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দেয় না।”
📖 [সূরা মুমতাহিনা, আয়াত ৮]

➡️ অর্থাৎ, যারা মুসলিমদের প্রতি কোনো শত্রুতা দেখায় না, তাদের সঙ্গে সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করা ইসলামের নির্দেশ।

হাদীসের আলোকে:

১. অমুসলিমদের নিরাপত্তা দেয়া মুসলিমের দায়িত্ব
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

> "যে ব্যক্তি কোনো মো’আহিদ (অমুসলিম নাগরিক) কে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ জান্নাতের সুগন্ধ চল্লিশ বছরের দূর থেকেও পাওয়া যায়।”
📚 সহীহ বুখারী: ৩১৬৬

➡️ ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিমদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা মুসলমানদের দায়িত্ব।

২. অন্যায়ের শিকারকে সাহায্য করা

> “তুমি জুলুম করো না এবং অন্যকে জুলুম করতে দিও না।”
📚 সহীহ মুসলিম

➡️ এটি সার্বজনীন নীতি – মুসলিম হোক বা নন-মুসলিম, কারো উপর জুলুম করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

ইসলামের ইতিহাস থেকে দৃষ্টান্ত:

রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করেন, তখন তিনি মদিনার সংবিধান নামে এক চুক্তিতে মুসলিম, ইহুদি ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সহাবস্থান নিশ্চিত করেন।

খলিফা ওমর (রাঃ) বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়ের সময় গির্জা ধ্বংস করেননি; বরং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন।

🔚 উপসংহার:

🔴 অমুসলিমদের বাড়িঘর ভাঙচুর, নির্যাতন বা উচ্ছেদ করা ইসলামি নীতিমালার সম্পূর্ণ বিরোধী। বরং ইসলাম অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সদাচরণ, সহনশীলতা এবং নিরাপত্তা দেওয়ার আদেশ দেয়।

📌 যদি কোনো অমুসলিম মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা ষড়যন্ত্র করে, তখন সেটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিচারের বিষয় — ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো আক্রমণ বা প্রতিশোধ ইসলামে বৈধ নয়।

আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট দোয়া করি যেন তিনি আমাদের সকলকে ন্যায়, ইনসাফ ও সহানুভূতির পথে পরিচালিত করেন। আমিন।

রংপুরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। এ জাতীয় ঘটনা শুধু মানবিক বা আইনগতভাবে নয়, বরং ইসলামী মূল্যবোধের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত নিন্দনীয়।

দাবি জানাচ্ছি পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে—

1️⃣ যদি কেউ সত্যিই ধর্ম অবমাননার মতো অপরাধে লিপ্ত হয়ে থাকে, তবে তাকে যথাযথ প্রমাণসাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। ইসলাম নিজেই ধর্ম ও নবীর সম্মান রক্ষায় রাষ্ট্রীয় আইনের আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, ব্যক্তিগত প্রতিশোধের নয়।

2️⃣ অপরদিকে, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করেছে—তাদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

📌 ইসলাম কোনো নিরপরাধ মানুষের উপর জুলুম, সন্ত্রাস বা সহিংসতা সমর্থন করে না—তা সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম। রাসূল (সা.) নিজেই বলেছেন:

> "যে ব্যক্তি কোনো 'মুআহিদ' (অমুসলিম নাগরিক)-কে হত্যা করল, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।"
📚 (সহীহ বুখারী)

সূরা আল-আ‘রাফের আয়াত ১৭৫-১৭৬ এর পূর্ণ প্রসঙ্গ, ঐতিহাসিক পটভূমি, আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, এবং শিক্ষা (ইবরত)।

📖 আয়াত: সূরা আল-আ‘রাফ (৭:১৭৫-১৭৬)

🔹 আয়াত ১৭৫:

> وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱلَّذِىٓ ءَاتَيْنَـٰهُ ءَايَـٰتِنَا فَٱنسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَـٰنُ فَكَانَ مِنَ ٱلْغَاوِينَ

অনুবাদ:
তুমি তাদেরকে সেই ব্যক্তির কাহিনী শুনাও, যাকে আমি আমার নিদর্শনসমূহ দিয়েছিলাম, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়ে গেল। ফলে শয়তান তাকে অনুসরণ করল এবং সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

🔹 আয়াত ১৭৬:

> وَلَوْ شِئْنَا لَرَفَعْنَـٰهُ بِهَا وَلَـٰكِنَّهُۥٓ أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ ۚ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ إِن تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَث ۚ ذَّٰلِكَ مَثَلُ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا ۚ فَٱقْصُصِ ٱلْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

অনুবাদ:
আমি চাইলে তাকে এ নিদর্শনসমূহের মাধ্যমে মর্যাদার শিখরে উন্নীত করতাম। কিন্তু সে তো পার্থিব জীবনে লিপ্ত হলো এবং তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করল। অতএব তার দৃষ্টান্ত হলো কুকুরের মতো—তুমি যদি তাকে তাড়াও, সে হাঁপায়; আর যদি ছেড়ে দাও, তবুও সে হাঁপায়। এটি সেই জাতির উপমা যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। সুতরাং, তুমি এই কাহিনী বর্ণনা করো, যাতে তারা চিন্তা করে।

📚 ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

এই আয়াত দুটি এক বিশেষ ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। তাফসিরবিদগণের মতে, এই ব্যক্তি ছিল বালআম ইবনে বাউরা নামে একজন আলেম, যিনি মুসা (আ.)-এর সময়কালে বসরার কাছাকাছি বা শাম অঞ্চলে বাস করতেন।

আল্লাহ তাকে বিশেষ জ্ঞান ও নাম দান করেছিলেন, এমনকি তাঁর দোয়া কবুল হতো।

কিন্তু যখন মুসা (আ.) তার কওমকে নিয়ে সেই অঞ্চলে আসেন, তখন তার জাতির লোকেরা বালআমকে প্ররোচিত করে বলেন: “তুমি মুসার বিরুদ্ধে দোয়া করো”।

প্রথমে সে রাজি হয়নি, কিন্তু পরে দুনিয়াবী স্বার্থ ও লোভের কারণে সে আল্লাহর জ্ঞানকে বিকিয়ে দিয়ে মুসা (আ.) ও তাঁর কওমের বিরুদ্ধে দোয়া করেছিল।

তখন সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়, এবং চিরন্তন পথভ্রষ্টতায় নিপতিত হয়।

🔍 আয়াত বিশ্লেষণ

✳️ "آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا"

আল্লাহ তাকে তাঁর আয়াত (জ্ঞান, হিকমাহ, দোয়া কবুলের শক্তি) দিয়েছিলেন।

✳️ "فَٱنسَلَخَ مِنْهَا"

সে নিজেই সেচ্ছায় আল্লাহর আয়াত থেকে বের হয়ে গেল (উপেক্ষা করল, ছেড়ে দিল)। এটি জামা খুলে ফেলার মতো, মানে সম্পূর্ণভাবে ছাড় দেওয়া।

✳️ "فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَـٰنُ"

ফলে শয়তান তাকে অনুসরণ করল এবং তাকে গোমরাহিতে ফেলল।

✳️ "أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ"

সে দুনিয়াতে আসক্ত হলো। ‘আখলাদ’ মানে মাটি বা নিচের দিকে ঝুঁকে পড়া—অর্থাৎ দুনিয়ার লোভ, ক্ষমতা, টাকা, খ্যাতির জন্য নিজের ধর্মীয় মর্যাদা বিসর্জন দেওয়া।

✳️ "كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ"

তাকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে—একটি প্রাণী যার হাঁপ ধরা সব সময়ই চলে: তুমি তাকে মারো, অথবা না মারো—সে হাঁপাবে। এমন ব্যক্তি শয়তান ও প্রবৃত্তির গোলাম, কখনো থামে না, কখনো সন্তুষ্ট হয় না।

🧠 শিক্ষণীয় বিষয় (ইবরত):

❌ শুধু জ্ঞান থাকলেই চলবে না আমল না থাকলে, জ্ঞান মানুষকে আরো নিচে নামিয়ে দেয়।

🛑 দ্বীনের জ্ঞান বিক্রি হারাম আল্লাহর আয়াত, হাদীস বা ইসলামী শিক্ষা দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থ (পদ, টাকা, স্বীকৃতি) অর্জন করা এক ভয়ংকর অপরাধ।

🔥 দুনিয়াপ্রেম ধ্বংস করে দুনিয়ার মোহ মানুষকে পথভ্রষ্ট করে, যদিও সে আগে ধার্মিক ছিল।

কুকুরের তুলনা : কুকুর সব সময় হাঁপায়—এটা এমন এক আচরণ যা থামে না; তেমনি এই শ্রেণির মানুষ সব সময় চাহিদা, লোভ ও প্রবৃত্তির দাসত্ব করে।

🧭 সতর্কতা যারা দ্বীনের দায়িত্বে আছেন (আলেম, দাঈ, ইমাম, শিক্ষক) তাদের জন্য বড় সতর্কবার্তা—আল্লাহর জ্ঞানকে কখনো দুনিয়ার বিনিময়ে ব্যবহার করা যাবে না

📌 উপসংহার:

এই আয়াত আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে,

> আল্লাহর এলেম একটি আমানত।
এই এলেম শুধু জানার জন্য নয়—বরং আমলের জন্য।
যদি কেউ এটি বিকিয়ে দেয় দুনিয়ার স্বার্থে, তার পরিণাম পশুর চেয়েও জঘন্য।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাঁর পথে দৃঢ়ভাবে চলার তাওফিক দিন।
আল্লাহুম্মা আমীন।

Monday, August 4, 2025

Successfully completed a two-day training titled "Elevate: Leadership Through Emotional Intelligence"

Alhamdulillah, I’m grateful to have successfully completed a two-day training titled "Elevate: Leadership Through Emotional Intelligence", organized by the #UCB Learning and Development Center (LDC) conducted by the master trainer Vanitha Choudhari from RadicalEdge Learning Consultants

This insightful journey deepened my understanding of how emotional intelligence plays a vital role in effective leadership, team engagement, and decision-making — especially in today's fast-paced and complex organizational environments.

Looking forward to applying these learnings to lead with empathy, resilience, and impact, InShaAllah.

#LeadershipDevelopment #EmotionalIntelligence #ContinuousLearning #UCB