আরবি দুটি শব্দ তাওয়াক্কুল এবং কানয়াত, যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে যথাক্রমে আল্লাহর উপর ভরসা অথবা rely on Almighty Allah এবং আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকা অথবা contentment so far what I have received from Almighty Allah. যেহেতু মানুষের ঈমান উঠানামা করে কখনো মানুষের ঈমান সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায় আবার কখনো নিম্নস্তরে পৌঁছায়। যে কোন স্তরের ঈমানদারদের জন্যই তাওয়াক্কুল অর্থাৎ আল্লাহর উপর ভরসা সব সময় থাকে এবং সবাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে কানয়াত নিয়ে, অধিকাংশ মানুষই, হোক উঁচুস্তরের ঈমানদার অথবা নিম্নস্তরের ঈমানদার; কানয়াত-এর প্রয়োগ করাটা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পরে। কেউ কখনোই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারে না বা চায় না। সবার মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা চাহিদা সব সময় অবলোকন করা যায় এবং সেটা আমার নিজের মধ্যেও। বিশেষ করে যখন অন্য কারো দিকে নজর দেওয়া হয় তখন আফসোসটা আরো বেশি হয়ে যায়। এজন্য হাদিসে বলা হয়েছে, "তোমরা তোমাদের থেকে কম সৌভাগ্যবান বা দরিদ্র বা কম নেয়ামতের মধ্যে আছে, তাদের দিকে তাকিয়ে থাকো তাহলেই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি বা শুকরিয়া চলে আসবে। আর যদি তোমরা তোমাদের থেকে বেশি সৌভাগ্যবান বা ধনী বা বেশি নেয়ামতের মধ্যে আছে এইসব লোকদের দিকে তাকিয়ে থাকো, তাহলে তোমাদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্টি এবং না-শুকরিয়া চলে আসবে"। আফসোসের বিষয় হচ্ছে, প্রথমে আমি নিজেই সহ অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই পরের বিষয়টি অনুসরণ করতে দেখা যায়।
যাইহোক আসুন আমরা মূল আলোচনা বা গল্পে চলে আসি। অফিস ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে গুলশান-১ এর পোস্ট অফিসের পাশে প্রায়সই চা খাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে বের হই। কখনো সুজন টি-স্টল অথবা কখনো নাসির টি-স্টলে যাই। সুজন এবং নাসির ভাই হচ্ছে যথাক্রমে সুজন টি-স্টল এবং নাসির টি-স্টল এর স্বত্বাধিকারী। মজার ব্যাপার হচ্ছে, উনাদের সাথে প্রায় ৭-৮ বছরের পরিচয় এবং সবসময়ই আমি তাদের হাসিমুখ-ই দেখেছি। কখনোই তাদের মাঝে হতাশা অথবা মন খারাপ হতে দেখিনি। আমি কি চা পছন্দ করি একটা দিনের জন্য বলতে হয়নি, বরং আমি যাওয়া মাত্রই পছন্দের চা রেডি হয়ে যেত। উনাদের মাঝে সবসময়ই তাওয়াক্কুল এবং কানয়াতের যথাযথ প্রয়োগ অবলোকন করেছি।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সবসময়ই তাওয়াক্কুল এবং কানয়াতের সাথে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
No comments:
Post a Comment