Tuesday, October 21, 2025

শেষ যামানায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ (ফিতনা) ঘটবে...

নবী করীম ﷺ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, শেষ যামানায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ (ফিতনা) ঘটবে — যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে, কিন্তু কেউই বুঝবে না কেন হত্যা করছে বা কেন নিহত হচ্ছে।

হাদীস:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ:
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ:

> "وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَدْرِي الْقَاتِلُ فِيمَ قَتَلَ، وَلَا الْمَقْتُولُ فِيمَ قُتِلَ"
قِيلَ: وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ؟
قَالَ: "الْهَرْجُ، الْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ"

অনুবাদ:
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—
রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! এমন এক সময় মানুষের উপর আসবে, যখন হত্যাকারী জানবে না কেন সে হত্যা করছে, আর নিহত ব্যক্তিও জানবে না কেন তাকে হত্যা করা হচ্ছে।”

লোকেরা জিজ্ঞাসা করলঃ “এটা কিভাবে সম্ভব, হে রসূলুল্লাহ?”
তিনি বললেনঃ “সেই সময়ে ‘হারজ’ (অর্থাৎ ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও বিশৃঙ্খলা) দেখা দেবে। হত্যাকারী ও নিহত উভয়েই জাহান্নামী হবে।”

সূত্র: সহীহ মুসলিম, হাদীস নম্বর: ২৯০৮

একই বিষয় সহীহ বুখারীতেও ইঙ্গিত পাওয়া যায় (বুখারী, কিতাবুল ফিতান, হাদীস নং ৭০৬৫)

ব্যাখ্যা:
এই হাদীসটি শেষ যামানার এক বড় ফিতনা বা বিশৃঙ্খলার ইঙ্গিত দেয়—যেখানে যুদ্ধ, সন্ত্রাস, দাঙ্গা, এবং গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ এতই বৃদ্ধি পাবে যে, মানুষ অন্ধভাবে হত্যা করবে; কোনো ন্যায়, কারণ বা উদ্দেশ্য থাকবে না।

Monday, September 15, 2025

Infocom Dhaka Reunion 2025

Really had a wonderful time, and it was such a great reunion. It brought back beautiful memories and truly enjoyed reconnecting with everyone. Looking forward to more moments like this in the future, In Sha Allah.

A heartfelt thank you to Dr. Ijazul Haque,ITIL Expert,CRISC,IOT,COBIT5,  Sir for being such a wonderful host 🤲

#Infocom #Dhaka #Reunion


Tuesday, August 26, 2025

Special recognition from our Honourable MD & CEO, Sir!

Appreciation and recognition are always encouraging and motivational — but these become truly extraordinary and deeply valuable when those came from our Honourable MD & CEO, Sir.

Words fall short in expressing the depth of our gratitude for the blessings we have received from UCB Management. What we experienced was not merely an event, but a milestone in our lives — one that has left us inspired, humbled, and profoundly moved. Each member of the Information Security Division feels honoured beyond measure by the special recognition shown by UCB. Your faith in us, your trust in our abilities, and your constant encouragement continue to serve as the driving force behind all that we have been able to achieve. From the depths of our hearts, thank you, Sir. None of this would have been possible without your visionary leadership and unwavering support. You have not only guided us — you have uplifted us.

We humbly seek your continued prayers. InShaAllah, we will strive to ensure that our efforts always reflect the trust you have placed in us, upholding the values and vision you inspire within us. 🤲🏻

#UCB #Infosec #ISD #Townhall

Saturday, August 23, 2025

দান-খয়রাত, সাদাকা ইত্যাদি করার ফজিলত...

আয়াত (সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত ১৭)

إِن تُقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ۚ وَاللَّهُ شَكُورٌ حَلِيمٌ

বাংলা অনুবাদ

“তোমরা যদি আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করো, তবে তিনি তা তোমাদের জন্য বহু গুণ বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ অতিশয় কৃতজ্ঞ, অতি সহনশীল।”

তাফসীর ও ব্যাখ্যা

১. “আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান” এর অর্থ কী?

এখানে “ঋণ” বলতে বোঝানো হয়েছে আল্লাহর পথে দান-খয়রাত, সদকা, জাকাত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যয় করা।

যেহেতু মানুষ আসলে যা ব্যয় করে সবই আল্লাহর দেওয়া, তবুও আল্লাহ দয়ার কারণে একে “ঋণ” বলেছেন। যেন মানুষ মনে করে – এটা হারিয়ে যায়নি, বরং আল্লাহর কাছে জমা হয়ে আছে।

২. “উত্তম ঋণ” (قرضًا حسنًا)

বিশুদ্ধ নিয়তে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, রিয়া (দেখানো), স্বার্থ কিংবা কষ্ট না দিয়ে দান করা।

যেমন: অসহায়কে সাহায্য করা, দ্বীনের কাজে খরচ করা, এতিম, গরীব, মাদ্রাসা/মসজিদে সাহায্য ইত্যাদি।

৩. “ইউদ্বা’ইফহু লাকুম” – আল্লাহ গুণ বাড়িয়ে দিবেন

আল্লাহ তা দুনিয়া ও আখিরাতে বহুগুণে ফিরিয়ে দেন।

অন্য আয়াতে (সূরা বাকারা ২:২৬১) বলা হয়েছে: “একটি দানা সাত শিষ উৎপন্ন করে, প্রতিটি শিষে একশ’ দানা থাকে; আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, তার জন্য আরও বাড়িয়ে দেন।”

অর্থাৎ ১ টাকার দান আখিরাতে শত শত গুণে বৃদ্ধি পাবে।

৪. “ওয়া ইয়াগফির লাকুম” – এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন

দান-খয়রাতের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন।

অর্থাৎ দান শুধু সম্পদ বৃদ্ধি নয়, বরং আত্মার পরিশুদ্ধি ও গুনাহ থেকে মুক্তিরও মাধ্যম।

৫. আল্লাহর দুটি সুন্দর গুণের উল্লেখ

শাকুর (شكور) – বান্দার সামান্য আমলও তিনি অনেক গুণে বাড়িয়ে প্রতিদান দেন।

হালীম (حليم) – বান্দারা কখনো দান না করলেও, গুনাহ করলেও তিনি তৎক্ষণাৎ শাস্তি দেন না, বরং ধৈর্য ধারণ করেন, সময় দেন তাওবার জন্য।

সারসংক্ষেপ

এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয় যে—

দান-খয়রাত আসলে “আল্লাহকে ঋণ দেওয়া”র সমান।

বিশুদ্ধ নিয়তে দান করলে আল্লাহ তা বহুগুণে ফিরিয়ে দেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন।

দান শুধু গরীবের জন্য নয়, দানকারী নিজেকেও আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও জান্নাতের যোগ্য করে তোলে।

Wednesday, August 20, 2025

Conducted Training on Information Security Awareness

Information Security Division, in collaboration with the Learning & Development Centre (LDC), successfully arranged an Information Security Awareness Program on 20th August 2025.
Participants: 29 officials of the Trade Finance Operations (TFO) Team attended the session physically, while approximately 120 employees joined online.

Session Details: The awareness session was conducted from 9:00 AM to 9:45 AM.

Objective: The program was organized in line with Bangladesh Bank’s audit compliance requirements, with a particular focus on employees engaged in foreign currency transactions.

This initiative aimed to strengthen employees’ understanding of information security protocols and reinforce the Bank’s commitment to compliance and risk mitigation.

I would like to express my heartfelt thanks to Adiba Fariha, Feroze Ahamed Bhuiyan Bhai and Masud Rayhan (Head of LDC) for the cordial cooperation and arrangement. 


Sunday, August 17, 2025

সোনার ডিম পাড়া হাঁস ও লোভের পরিণতি

একদা একজন সৎ ও কর্মঠ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আর্থিকভাবে খুব স্বাবলম্বী না হলেও, সৎ উপার্জনে তার জীবন সুন্দরভাবেই চলছিল। তিনি সর্বদা উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন।

তার সততা ও পরিশ্রমে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ তাকে একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস দান করলেন। হাঁসটি প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম দিত। এগুলো বিক্রি করে লোকটির অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হতে লাগল। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সম্পদশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন।

কিন্তু যতই ধনী হচ্ছিলেন, ততই তার অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা ও আস্থা হারিয়ে যাচ্ছিল। একসময় লোভে অন্ধ হয়ে তিনি প্রতিদিন একটি করে ডিমে আর সন্তুষ্ট থাকতে পারলেন না। তার মনে হলো—“একবারেই সব ডিম পেয়ে ধনী হয়ে যাব।”

সে হাঁসটিকে জবাই করল, ভেবেছিল পেটের ভেতর অনেক সোনার ডিম জমা আছে। কিন্তু বিধিবাম! হাঁসের পেটে কিছুই ছিল না। হাঁসটিও মারা গেল, আর সোনার ডিমও আর কখনো পাওয়া গেল না। হতাশ হয়ে লোকটি আফসোস করতে লাগল—“আগে প্রতিদিন একটি করে ডিম পেতাম, জীবনে সুখ ছিল। এখন হাঁসটিও নেই, ডিমও নেই। আমার তো সবই শেষ!”

এই গল্প শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং অনেক সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাধরদের সঙ্গেও মিলে যায়। শুরুতে সৎ প্রচেষ্টায় তারা ক্ষমতার সুযোগ পায়—যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। কিন্তু ধীরে ধীরে কৃতজ্ঞতা ভুলে গিয়ে যখন লোভ, অধৈর্য্য ও অন্যায়ে লিপ্ত হয়, তখন একসময় তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়—সম্পদ, মানসম্মান, ক্ষমতা সবই।

আসলে সবকিছুই আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। যিনি দিয়েছেন, তিনিই চাইলে তা ফিরিয়ে নিতে পারেন। তাই যারা তাঁর আশীর্বাদকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে এবং কৃতজ্ঞ থাকবে, তারা বরকত পাবে। আর যারা লোভে ও প্রতারণায় অন্ধ হবে, তাদের অবস্থা ওই হাঁস মারা লোকটির মতোই হবে—“আমও গেল, ছালাও গেল।”

Tuesday, August 12, 2025

Information Security is Action! not... commitment

Journalist Anas Al-Sharif had died due to the brutal bombardment of the barbaric and illegitimate state of Israel

Under the brutal bombardment of the barbaric and illegitimate state of Israel, the flame of life of fearless journalist Anas Al-Sharif—steadfast in truth and unwavering in the path of justice—has been extinguished.

Until his very last moment, he stood firm on the side of truth, without a hint of compromise.

May Allah shower His infinite mercy upon the people of Gaza and grant the martyrs the highest honor.

One day, #Palestine will be free — Insha’Allah.

#FreePalestine | 🕊 #SaveGaza | 🌍 #SaveHumanity


Sunday, August 10, 2025

The Information Security Division, in collaboration with the Learning & Development Centre (LDC), successfully conducted an Information Security Awareness Program on 10th August 2025...

The Information Security Division, in collaboration with the Learning & Development Centre (LDC), successfully conducted an Information Security Awareness Program on 10th August 2025.

The session was specifically arranged for 32 participants from the Financial Institutions and Offshore Banking Unit, as well as the Treasury Front and Mid Office in compliance with Bangladesh Bank’s audit requirements, particularly addressing employees engaged in foreign currency transactions.

The 45 minutes awareness session, held from 6:00 PM to 6:45 PM, aimed to enhance participants’ understanding of information security protocols, promote best practices, and ensure alignment with regulatory compliance standards.

Our heartfelt thanks to the #UCB LDC Team, especially Adiba Fariha, LDC and Masud Rayhan (Head of LDC), for their kind and cordial support.

Tuesday, August 5, 2025

একটি জাতির মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, কর্তব্যপরায়ণতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি।

৩০ জুলাই ২০২৫ — রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে, কামচাটকা উপদ্বীপ সংলগ্ন পেট্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহরের প্রায় ১২৫–১৩৬ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে একটি ভয়াবহ ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূকম্পনের গভীরতা ছিল মাত্র ১৯.৩ কিমি, যা এটিকে আরও বিধ্বংসী করে তোলে। আধুনিক কালের ইতিহাসে এটিকে শীর্ষ ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঠিক মুহূর্তেই, পেট্রোপাভলোভস্কের একটি হাসপাতালে রুশ চিকিৎসক দল একটি জটিল অস্ত্রোপচারে নিয়োজিত ছিলেন। মাটির তীব্র কম্পন, কাঁচ ভেঙে পড়া, যন্ত্রপাতির কাঁপুনির মাঝেও তাঁরা দায়িত্ব থেকে একচুলও বিচ্যুত হননি। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তাদের নৈতিক দায়িত্ব ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে, রোগীর প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসা চালিয়ে যান।

এই ঘটনা শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের নয়, বরং একটি জাতির মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, কর্তব্যপরায়ণতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি।

আমি এই প্রসঙ্গে আর কিছু বলতে চাই না — বিশেষ একটি দেশের কথা উল্লেখ করতেও চাই না।
বাকিটা আপনার বিবেক, চেতনা ও বাস্তবতা বুঝে নিজেই ভেবে নিন।

https://www.facebook.com/share/r/16noFQHUpG/

ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম, যা ন্যায়বিচার, সহনশীলতা এবং মানবাধিকারের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে।

ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম, যা ন্যায়বিচার, সহনশীলতা এবং মানবাধিকারের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে। নন-মুসলিমদের বাড়িঘর ভাঙচুর, নির্যাতন বা উচ্ছেদের মতো কর্মকাণ্ড ইসলামের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী।

কোরআনের দৃষ্টিকোণ থেকে:

১. ধর্মে জোরজবরদস্তি নেই
﴿لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ﴾

> “ধর্মে কোনো জবরদস্তি নেই।”
📖 [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৬]

➡️ ইসলাম কখনো কাউকে ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করতে বলে না। অতএব, অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর জুলুম বা উচ্ছেদ – এটা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।

২. অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষা

> “আর যদি আল্লাহ্‌ মানুষকে একে অপরের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে ভেঙে ফেলা হতো অনেক গির্জা, উপাসনালয়, সিনাগগ ও মসজিদ, যেগুলোতে আল্লাহ্‌র নাম অধিক স্মরণ করা হয়।”
📖 [সূরা হজ্জ, আয়াত ৪০]

➡️ ইসলাম শুধু মসজিদ নয়, অন্য ধর্মের উপাসনালয়ের নিরাপত্তাও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।

৩. ন্যায়বিচার বজায় রাখা

> “আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে সেই সমস্ত লোকের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও ন্যায়বিচার করতে নিষেধ করেন না, যারা ধর্ম বিষয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে না কিংবা তোমাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দেয় না।”
📖 [সূরা মুমতাহিনা, আয়াত ৮]

➡️ অর্থাৎ, যারা মুসলিমদের প্রতি কোনো শত্রুতা দেখায় না, তাদের সঙ্গে সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করা ইসলামের নির্দেশ।

হাদীসের আলোকে:

১. অমুসলিমদের নিরাপত্তা দেয়া মুসলিমের দায়িত্ব
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

> "যে ব্যক্তি কোনো মো’আহিদ (অমুসলিম নাগরিক) কে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ জান্নাতের সুগন্ধ চল্লিশ বছরের দূর থেকেও পাওয়া যায়।”
📚 সহীহ বুখারী: ৩১৬৬

➡️ ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিমদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা মুসলমানদের দায়িত্ব।

২. অন্যায়ের শিকারকে সাহায্য করা

> “তুমি জুলুম করো না এবং অন্যকে জুলুম করতে দিও না।”
📚 সহীহ মুসলিম

➡️ এটি সার্বজনীন নীতি – মুসলিম হোক বা নন-মুসলিম, কারো উপর জুলুম করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

ইসলামের ইতিহাস থেকে দৃষ্টান্ত:

রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করেন, তখন তিনি মদিনার সংবিধান নামে এক চুক্তিতে মুসলিম, ইহুদি ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সহাবস্থান নিশ্চিত করেন।

খলিফা ওমর (রাঃ) বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়ের সময় গির্জা ধ্বংস করেননি; বরং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন।

🔚 উপসংহার:

🔴 অমুসলিমদের বাড়িঘর ভাঙচুর, নির্যাতন বা উচ্ছেদ করা ইসলামি নীতিমালার সম্পূর্ণ বিরোধী। বরং ইসলাম অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সদাচরণ, সহনশীলতা এবং নিরাপত্তা দেওয়ার আদেশ দেয়।

📌 যদি কোনো অমুসলিম মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা ষড়যন্ত্র করে, তখন সেটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিচারের বিষয় — ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো আক্রমণ বা প্রতিশোধ ইসলামে বৈধ নয়।

আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট দোয়া করি যেন তিনি আমাদের সকলকে ন্যায়, ইনসাফ ও সহানুভূতির পথে পরিচালিত করেন। আমিন।

রংপুরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। এ জাতীয় ঘটনা শুধু মানবিক বা আইনগতভাবে নয়, বরং ইসলামী মূল্যবোধের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত নিন্দনীয়।

দাবি জানাচ্ছি পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে—

1️⃣ যদি কেউ সত্যিই ধর্ম অবমাননার মতো অপরাধে লিপ্ত হয়ে থাকে, তবে তাকে যথাযথ প্রমাণসাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। ইসলাম নিজেই ধর্ম ও নবীর সম্মান রক্ষায় রাষ্ট্রীয় আইনের আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, ব্যক্তিগত প্রতিশোধের নয়।

2️⃣ অপরদিকে, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করেছে—তাদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

📌 ইসলাম কোনো নিরপরাধ মানুষের উপর জুলুম, সন্ত্রাস বা সহিংসতা সমর্থন করে না—তা সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম। রাসূল (সা.) নিজেই বলেছেন:

> "যে ব্যক্তি কোনো 'মুআহিদ' (অমুসলিম নাগরিক)-কে হত্যা করল, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।"
📚 (সহীহ বুখারী)

সূরা আল-আ‘রাফের আয়াত ১৭৫-১৭৬ এর পূর্ণ প্রসঙ্গ, ঐতিহাসিক পটভূমি, আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, এবং শিক্ষা (ইবরত)।

📖 আয়াত: সূরা আল-আ‘রাফ (৭:১৭৫-১৭৬)

🔹 আয়াত ১৭৫:

> وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱلَّذِىٓ ءَاتَيْنَـٰهُ ءَايَـٰتِنَا فَٱنسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَـٰنُ فَكَانَ مِنَ ٱلْغَاوِينَ

অনুবাদ:
তুমি তাদেরকে সেই ব্যক্তির কাহিনী শুনাও, যাকে আমি আমার নিদর্শনসমূহ দিয়েছিলাম, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়ে গেল। ফলে শয়তান তাকে অনুসরণ করল এবং সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

🔹 আয়াত ১৭৬:

> وَلَوْ شِئْنَا لَرَفَعْنَـٰهُ بِهَا وَلَـٰكِنَّهُۥٓ أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ ۚ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ إِن تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَث ۚ ذَّٰلِكَ مَثَلُ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا ۚ فَٱقْصُصِ ٱلْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

অনুবাদ:
আমি চাইলে তাকে এ নিদর্শনসমূহের মাধ্যমে মর্যাদার শিখরে উন্নীত করতাম। কিন্তু সে তো পার্থিব জীবনে লিপ্ত হলো এবং তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করল। অতএব তার দৃষ্টান্ত হলো কুকুরের মতো—তুমি যদি তাকে তাড়াও, সে হাঁপায়; আর যদি ছেড়ে দাও, তবুও সে হাঁপায়। এটি সেই জাতির উপমা যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। সুতরাং, তুমি এই কাহিনী বর্ণনা করো, যাতে তারা চিন্তা করে।

📚 ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

এই আয়াত দুটি এক বিশেষ ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। তাফসিরবিদগণের মতে, এই ব্যক্তি ছিল বালআম ইবনে বাউরা নামে একজন আলেম, যিনি মুসা (আ.)-এর সময়কালে বসরার কাছাকাছি বা শাম অঞ্চলে বাস করতেন।

আল্লাহ তাকে বিশেষ জ্ঞান ও নাম দান করেছিলেন, এমনকি তাঁর দোয়া কবুল হতো।

কিন্তু যখন মুসা (আ.) তার কওমকে নিয়ে সেই অঞ্চলে আসেন, তখন তার জাতির লোকেরা বালআমকে প্ররোচিত করে বলেন: “তুমি মুসার বিরুদ্ধে দোয়া করো”।

প্রথমে সে রাজি হয়নি, কিন্তু পরে দুনিয়াবী স্বার্থ ও লোভের কারণে সে আল্লাহর জ্ঞানকে বিকিয়ে দিয়ে মুসা (আ.) ও তাঁর কওমের বিরুদ্ধে দোয়া করেছিল।

তখন সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়, এবং চিরন্তন পথভ্রষ্টতায় নিপতিত হয়।

🔍 আয়াত বিশ্লেষণ

✳️ "آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا"

আল্লাহ তাকে তাঁর আয়াত (জ্ঞান, হিকমাহ, দোয়া কবুলের শক্তি) দিয়েছিলেন।

✳️ "فَٱنسَلَخَ مِنْهَا"

সে নিজেই সেচ্ছায় আল্লাহর আয়াত থেকে বের হয়ে গেল (উপেক্ষা করল, ছেড়ে দিল)। এটি জামা খুলে ফেলার মতো, মানে সম্পূর্ণভাবে ছাড় দেওয়া।

✳️ "فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَـٰنُ"

ফলে শয়তান তাকে অনুসরণ করল এবং তাকে গোমরাহিতে ফেলল।

✳️ "أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ"

সে দুনিয়াতে আসক্ত হলো। ‘আখলাদ’ মানে মাটি বা নিচের দিকে ঝুঁকে পড়া—অর্থাৎ দুনিয়ার লোভ, ক্ষমতা, টাকা, খ্যাতির জন্য নিজের ধর্মীয় মর্যাদা বিসর্জন দেওয়া।

✳️ "كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ"

তাকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে—একটি প্রাণী যার হাঁপ ধরা সব সময়ই চলে: তুমি তাকে মারো, অথবা না মারো—সে হাঁপাবে। এমন ব্যক্তি শয়তান ও প্রবৃত্তির গোলাম, কখনো থামে না, কখনো সন্তুষ্ট হয় না।

🧠 শিক্ষণীয় বিষয় (ইবরত):

❌ শুধু জ্ঞান থাকলেই চলবে না আমল না থাকলে, জ্ঞান মানুষকে আরো নিচে নামিয়ে দেয়।

🛑 দ্বীনের জ্ঞান বিক্রি হারাম আল্লাহর আয়াত, হাদীস বা ইসলামী শিক্ষা দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থ (পদ, টাকা, স্বীকৃতি) অর্জন করা এক ভয়ংকর অপরাধ।

🔥 দুনিয়াপ্রেম ধ্বংস করে দুনিয়ার মোহ মানুষকে পথভ্রষ্ট করে, যদিও সে আগে ধার্মিক ছিল।

কুকুরের তুলনা : কুকুর সব সময় হাঁপায়—এটা এমন এক আচরণ যা থামে না; তেমনি এই শ্রেণির মানুষ সব সময় চাহিদা, লোভ ও প্রবৃত্তির দাসত্ব করে।

🧭 সতর্কতা যারা দ্বীনের দায়িত্বে আছেন (আলেম, দাঈ, ইমাম, শিক্ষক) তাদের জন্য বড় সতর্কবার্তা—আল্লাহর জ্ঞানকে কখনো দুনিয়ার বিনিময়ে ব্যবহার করা যাবে না

📌 উপসংহার:

এই আয়াত আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে,

> আল্লাহর এলেম একটি আমানত।
এই এলেম শুধু জানার জন্য নয়—বরং আমলের জন্য।
যদি কেউ এটি বিকিয়ে দেয় দুনিয়ার স্বার্থে, তার পরিণাম পশুর চেয়েও জঘন্য।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাঁর পথে দৃঢ়ভাবে চলার তাওফিক দিন।
আল্লাহুম্মা আমীন।

Monday, August 4, 2025

Successfully completed a two-day training titled "Elevate: Leadership Through Emotional Intelligence"

Alhamdulillah, I’m grateful to have successfully completed a two-day training titled "Elevate: Leadership Through Emotional Intelligence", organized by the #UCB Learning and Development Center (LDC) conducted by the master trainer Vanitha Choudhari from RadicalEdge Learning Consultants

This insightful journey deepened my understanding of how emotional intelligence plays a vital role in effective leadership, team engagement, and decision-making — especially in today's fast-paced and complex organizational environments.

Looking forward to applying these learnings to lead with empathy, resilience, and impact, InShaAllah.

#LeadershipDevelopment #EmotionalIntelligence #ContinuousLearning #UCB


Wednesday, July 30, 2025

The second issue of “Safolyo Songkolon”, the quarterly magazine of United Commercial Bank PLC (UCB), has been officially published today...

Our heartfelt thanks to the entire editorial team for their tireless efforts, keen attention to detail, and incredible creative spirit. This publication stands as a testament to their dedication and teamwork.

A special note of appreciation for featuring our remarkable achievement—Team UCB being crowned back-to-back National Cyber Drill Champion! 🏆

Saturday, July 5, 2025

Kudos to the #UCB Information Security Team for emerging as Back-to-Back National Cyber Drill Champions (2023 & 2024)! 🏆🏆

Kudos to the #UCB Information Security Team for emerging as Back-to-Back National Cyber Drill Champions (2023 & 2024)! 🏆🏆

We extend our heartfelt gratitude to UCB Management for their constant support, strategic vision, and encouragement throughout this journey.

Please keep us in your prayers as we continue striving to uphold the highest standards of cyber security.

#TeamUCB #CyberDrillChampion #CybersecurityExcellence #BGD #eGOVT #CIRT #NCSA #UCB

Sunday, June 15, 2025

সাত প্রকার মানুষ থেকে দূরে থাকুন...

সতর্ক থাকুন!
এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে
(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)

১. ঠেলাগাড়ি মানুষ (Wheelbarrow People)
এরা সেই মানুষ, যারা নিজের জীবনের সমস্যাগুলো নিজেরা সামলাতে চায় না। আপনি যতই সাহায্য করুন না কেন, সব ভারই যেন আপনাকেই বইতে হবে। তারা চায়—আপনি তাদের খাওয়ান, চলার পথ দেখান, আবার পেছন থেকে ঠেলেও নিয়ে যান।
উদাহরণ: ধরো তোমার এক বন্ধু আছে, প্রতিবার প্রজেক্ট শুরু হলে বলে, “তুই তো ভালো জানিস, তুই কর, আমি ফাইনাল প্রেজেন্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকব।” সে ফল পেতে চায়, কিন্তু পরিশ্রম করতে চায় না।

শিক্ষা: যেসব সম্পর্ক শুধু একতরফা দায়িত্বের, সেগুলো সময়মতো চিনে সরে দাঁড়াও।

২. মশা মানুষ (Mosquito People)
এই মানুষরা আসে শুধু তোমার ভালোটা শুষে নিতে। যখন তোমার টাকা, সময়, যোগাযোগ, জনপ্রিয়তা বা সাফল্য দরকার হয়, তখন ওদের দেখা যায়। পরে সুযোগ পেলেই কটূক্তি করে, গুজব ছড়ায়।
উদাহরণ: ভাবো, কেউ তোমার কাছ থেকে রেফারেন্স চায় চাকরির জন্য। তুমি সাহায্য করো। পরে তাকে নিজের প্রয়োজনে ফোন দিলে বলে, “আসলে ব্যস্ত ছিলাম।” অথচ অন্যকে বলছে, “ও তো শুধু নিজ স্বার্থ দেখে!”

শিক্ষা: যাদের উপস্থিতি কেবল নিজের লাভের সময়েই দেখা যায়, তাদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. বাঁধাই কাঠামো মানুষ (Scaffolding People)
তারা এক সময় সাহায্য করেছে, কিন্তু এখন চায় তুমি সব সিদ্ধান্তে তাদের অনুমোদন চাও। তারা তোমার সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—মনে করে, তুমি চিরকাল তাদের ঋণী।
উদাহরণ: যেমন কোনো আত্মীয় তোমার পড়ালেখার খরচে একবার সাহায্য করেছিল। এখন যখন তুমি স্বাধীন হতে চাও, তখন বলে, “আমার মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।”

শিক্ষা: কৃতজ্ঞ হও, কিন্তু কারও ছায়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলো না।

৪. কুমির মানুষ (Crocodile People)
এই মানুষরা মিষ্টি ব্যবহার করে তোমার মন জয় করে, তারপর গোপন তথ্য জেনে রাখে। সুযোগ পেলেই সেই তথ্য দিয়ে তোমার ক্ষতি করে।
উদাহরণ: ধরো, তুমি কাউকে বলেছিলে—তোমার পরিবারে কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। পরে একদিন ওর সঙ্গে ঝামেলা হলে, সে এই কথাই অন্যদের সামনে এনে তোমাকে হেয় করে।

শিক্ষা: কারও মুখের মাধুর্যে বিভ্রান্ত হয়ো না, আগে যাচাই করো—সে মানুষ না মুখোশধারী।

৫. গিরগিটি মানুষ (Chameleon People)
এরা বাইরে থেকে বন্ধুর মতো—তোমার খোঁজও রাখে, পাশে হাঁটেও। কিন্তু আসলে তোমার প্রতিটি সাফল্য ওদের পুড়িয়ে দেয়। তোমার অর্জনে ওদের মুখ বন্ধ, কিন্তু তোমার সামান্য ভুল হলে ওদের মুখে ফেটে পড়ে উপহাস।
উদাহরণ: তুমি একটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেলে—ও মুখে বলে “ভালো হয়েছে”, কিন্তু ফেসবুকে তোমার ভুল বানান তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়।

শিক্ষা: যে মানুষ তোমার আনন্দে মুখ গোমড়া করে, তাকে বন্ধু ভাবলে চলবে না।

৬. না-বলা মানুষ (Naysayer People)
তারা কখনোই তোমার স্বপ্নে বিশ্বাস রাখবে না। বরং তারা এতটাই নেতিবাচক যে, তুমি কিছু শুরু করার আগেই মনোবল হারিয়ে ফেলবে।
উদাহরণ: তুমি যদি বলো, “আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাই”, ও বলবে, “ওসব কেউ দেখে না”, “তুই পারবি না”, “সার্চ রেজাল্টে আসবে না”—অথচ তারা নিজে কোনো চেষ্টা করে না।

শিক্ষা: নিজের স্বপ্নকে বাঁচাতে চাইলে, স্বপ্নহীনদের থেকে নিজেকে বাঁচাও।

৭. আবর্জনা ঠেলা মানুষ (Garbage Pusher People)
তারা সবসময় নেতিবাচক খবর ছড়ায়—কখনো কিছু ভালো বলতে জানে না। তোমার আশেপাশের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে হতাশা আর ভয়ের গল্প ছড়িয়ে।
উদাহরণ: তুমি যদি একটা ভালো উদ্যোগের পরিকল্পনা করো, সে বলবে “বাজার খারাপ”, “সব জিনিস লস”, “এই দেশে কিছু হয় না”—এমন কথা শুনিয়ে চেষ্টার আগেই সাহস কেড়ে নেবে।

শিক্ষা: যাদের চিন্তায় কেবল অন্ধকার, তারা তোমার ভেতরের আলো নিভিয়ে দিতে পারে—তাদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

শেষ কথা:
জীবনের প্রতিটি ধাপে কার সঙ্গে পথ চলছেন—এটাই ঠিক করে আপনি কত দূর যেতে পারবে। সম্পর্ক বেছে নিন মাথা ঠাণ্ডা রেখে, হৃদয় উষ্ণ রেখে। সবকিছুতে ভালোবাসা দিবেন, কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দিবেন না এমন কাউকে, যে আপনার ডানাকে কেটে নিজের ছায়া বাড়াতে চায়।

©সংগৃহিত

Saturday, June 14, 2025

সূরা যুমার (৩৯)-এর ৫৩ নম্বর আয়াতটি হলো কুরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক, হৃদয়ছোঁয়া ও ক্ষমাপরায়ণতার বার্তা বহনকারী আয়াতগুলোর একটি।

⚠️ সতর্কতা: ইসলামিক পোস্ট - মতভেদ থাকতে পারে, দয়া করে নিজ বিবেচনায় পড়ুন।

সূরা যুমার (৩৯)-এর ৫৩ নম্বর আয়াতটি হলো কুরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক, হৃদয়ছোঁয়া ও ক্ষমাপরায়ণতার বার্তা বহনকারী আয়াতগুলোর একটি। আয়াতটি হচ্ছে:

> قُلْ يَا عِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

_উচ্চারণ:_
Qul yā ʿibādiya alladhīna asrafū ʿalā anfusihim lā taqnaṭū min raḥmati-llāh, inna-llāha yaghfiru-dh-dhunūba jamīʿā, innahu huwa-l-ghafūru-r-raḥīm

অনুবাদ (তাফসিরভিত্তিক):
বলুন (হে মুহাম্মাদ ﷺ): “হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছো (অর্থাৎ পাপ করে ফেলেছো), তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব ধরনের পাপ ক্ষমা করে থাকেন। তিনি তো পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”

🌟 তাৎপর্য

১. আল্লাহর বার্তা সরাসরি পাপীদের উদ্দেশ্যে:
এই আয়াতে আল্লাহ পাপীদের "يا عبادي" (হে আমার বান্দাগণ) বলে সম্বোধন করেছেন, যা এক গভীর মমত্ব ও দয়ার পরিচয়। এটি পাপীদের প্রতি ঘৃণা বা বর্জনের নয়, বরং আহ্বানের ভাষা।

২. ‘আসরাফু’—অর্থাৎ সীমালঙ্ঘনকারীরা:
এরা কেবল পাপী নয়, বরং এমন লোক, যারা বহুবার ও মারাত্মকভাবে নিজের উপর জুলুম করেছে—অর্থাৎ বহুবার পাপ করেছে। এমন লোকদেরও নিরাশ না হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৩. ‘لا تَقْنَطُوا’ — নিরাশ হয়ো না:
এটি একেবারে নিষেধাজ্ঞার ভঙ্গিতে এসেছে। নিরাশ হওয়া একপ্রকার শয়তানের প্ররোচনা। আল্লাহর দয়ার ব্যাপকতা এতটাই, যে কোনো পাপ (তাওবা না করলে শিরক ব্যতীত) তিনি ক্ষমা করতে প্রস্তুত।

৪. ‘يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا’—সব পাপ ক্ষমাযোগ্য:
এখানে “সব পাপ” বলার মাধ্যমে মানুষের অন্তরের মধ্যে আশা সৃষ্টি করা হয়েছে। কেউ যদি চিন্তা করে, "আমি এত বড় পাপ করেছি যে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না" — তাহলে সে যেন জেনে নেয়, আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করেন, যদি বান্দা খাঁটি তাওবা করে।

৫. ‘هُوَ الغَفُورُ الرَّحِيم’ — তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু:
আয়াতের শেষাংশ আবার আল্লাহর দুটি গুণনামের মাধ্যমে শেষ হয়েছে—ঘন ঘন ক্ষমা করা ও সীমাহীন দয়া করা। যা আয়াতের বার্তাকে আরও দৃঢ় করে।

🕋 এই আয়াতের প্রভাব

একজন হতাশ পাপীও যেন জানে, তার জন্যও আল্লাহর দরজা খোলা।

এটি ইসলামের আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এই আয়াত অনেককে আত্মহত্যা, চরম হতাশা বা আল্লাহর রহমত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া থেকে রক্ষা করেছে।

📌 বাস্তব জীবনে প্রয়োগ:

পাপ করে ফেললে হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা।

কাউকে তার পাপের কারণে ঘৃণা না করা, বরং আল্লাহর রহমতের কথা মনে করিয়ে দেয়া।

নিজেকে গোনাহগার ভেবে আল্লাহর দরজায় খাঁটি তাওবার সাথে ফিরে যাওয়া।

একটি বিমানের যাত্রা—আর একটি বিমানের ট্র্যাজেডি

২০২৪ সালের ১১ই অক্টোবর, সিঙ্গাপুরে একটি কনফারেন্স শেষ করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছাই। দুপুর প্রায় ১টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আমাদের অনবোর্ড করানো হয়। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিশ্বের অন্যতম সেরা এয়ারলাইন্সগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও, বিমানের অভ্যন্তরে প্রবেশের পরেই মনটা একটু খচখচ করতে লাগল। কেননা, ভেতরের পরিবেশটা আমাদের ঢাকা শহরের কোনো লোকাল বাস—যেমন ‘ছয় নম্বর’ বাসে ওঠার অনুভূতির মতো মনে হলো।

আমি সিটে বসে সিটের ডিসপ্লেতে ক্লিক করছিলাম, কিন্তু সেটা ঠিকভাবে কাজ করছিল না। এসি-ও যেন কেমন অদ্ভুতভাবে চলছিল। যেহেতু আমার জানালার পাশের সিট ছিল, তাই বাইরে উঁকি দিতেই দেখতে পেলাম কয়েকজন ব্যক্তি নিচে দাঁড়িয়ে বিমানের তলদেশে কী যেন পর্যবেক্ষণ করছেন। তখনো কিছু বুঝে উঠতে পারিনি।

প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পাইলট ঘোষণা দিলেন যে, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া গেছে। তাই সকল যাত্রীকে বিমান থেকে নেমে আবার বোর্ডিং গেটে ফিরে যেতে হবে। দীর্ঘ দুই-আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর আরেকটি নতুন বিমান এসে আমাদেরকে গন্তব্য মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেয়।

১২ই জুন ২০২৫ তারিখে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি বোয়িং ৭৮৭ বিমান আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৫ মিনিট পর বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ২৪১ জনই নিহত হন—মাত্র একজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

এই বোয়িং ৭৮৭ মডেলটি আধুনিক প্রযুক্তির একটি প্রতিনিধিত্বকারী বিমান বলে ধরা হয়। তাহলে কীভাবে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল? একজন বিমান বিশেষজ্ঞের মতে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ঠিকভাবে বন্ধ হয়নি এবং ফ্ল্যাপও কাজ করছিল না। এটি হয়তো যান্ত্রিক ত্রুটি বা পাইলটের ভুলের ফল হতে পারে।

অনেক যাত্রী ফ্লাইট ছাড়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমানের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন—যেমন ডিসপ্লে কাজ করছিল না, এসি সঠিকভাবে চলছিল না ইত্যাদি। অথচ এসব সমস্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে বিমানটি উড্ডয়ন করানো হয়েছিল।

এ ধরনের দুর্ঘটনাগুলো আরও ভাবিয়ে তোলে কারণ অনেক বাজেট এয়ারলাইন্স উচ্চমূল্যের নতুন বিমান কেনার পরিবর্তে ১৫ থেকে ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিচালনা করে থাকে। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া ফ্লাইটগুলোকে সাধারণত লোকাল ট্রিপ হিসেবে ধরা হয়, তবুও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স যান্ত্রিক ত্রুটি পেলে সম্পূর্ণ দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে ফ্লাইট বাতিল করে। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার মতো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে এমন অবহেলা সত্যিই অবাক করার মতো।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিষয় ছিল—প্রতীক যোশী ও তার স্ত্রী-সন্তানের শেষ সেলফি। একটি পরিবারের সকল সদস্য একসাথে জীবন হারাল—এক মুহূর্তেই একটি গোটা পরিবারের গল্প শেষ হয়ে গেল। শুধু প্রতীকের পরিবার নয়, আরও অনেক পরিবার এভাবে চিরতরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

আসলে জীবনের চেয়ে পয়সার দাম কখনোই বেশি নয়। কিন্তু কঠিন বাস্তবতায় আমরা অনেক সময় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকির সঙ্গে পয়সার সমঝোতা করে ফেলি।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন। আমীন।

Monday, March 31, 2025

EID Mubarak

EID Mubarak to All (2025)

Eid Mubarak!!!
This Eid, our hearts are heavy with grief as we stand in unwavering solidarity with our brothers and sisters in #Palestine. May Allah (SWT) grant them justice, peace, and freedom. While we celebrate, let us not forget their struggles, their sacrifices, and their resilience. May our prayers and actions bring them closer to relief and victory. Ameen.
🇧🇩🇵🇸


Saturday, March 29, 2025

Dua for Palestine - Allahumma aslih ahwalal muslimina fi Filistin

"It seems that while Gaza is under siege by Israel, it is the rest of the world that is truly besieged by Israel, not Gaza."

اللهم أصلح أحوال المسلمين في فلسطين
Allahumma aslih ahwalal muslimina fi Filistin

"O Allah, rectify (or improve) the condition of the Muslims in Palestine."

#FreePalestine #SaveGaza #SaveHumanity #IDF #War #Criminals

Saturday, March 1, 2025

Ramadan Kareem 2025

شَهْرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلْقُرْءَانُ هُدًۭى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَـٰتٍۢ مِّنَ ٱلْهُدَىٰ وَٱلْفُرْقَانِ ۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍۢ فَعِدَّةٌۭ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا۟ ٱلْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا۟ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ١٨٥

Ramaḍân is the month in which the Quran was revealed as a guide for humanity with clear proofs of guidance and the decisive authority. So whoever is present this month, let them fast. But whoever is ill or on a journey, then ˹let them fast˺ an equal number of days ˹after Ramaḍân˺. Allah intends ease for you, not hardship, so that you may complete the prescribed period and proclaim the greatness of Allah for guiding you, and perhaps you will be grateful.
Al Quran, Chapter-2, Verse: 185

রমাযান মাস- যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকেদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে, কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে আর যে পীড়িত কিংবা সফরে আছে, সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে, আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, যা কষ্টদায়ক তা চান না যেন তোমরা মেয়াদ পূর্ণ করতে পার, আর তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর, আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।
আল-কোরআন, সূরা-২, আয়াত-১৮৫


Tuesday, February 11, 2025

আল-কোরআন, সূরা:২, আয়াত:১৮৬

Launch of the project

E-ffective Governance: Accelerating e-government and digital public services in Bangladesh.

#UCB Annual Business Conclave 2025

"Rise Above The Rest"

Farewell to our beloved AMD & CRO Sir...

It is a great privilege as well as bittersweet moment to bid farewell to our beloved Additional Managing Director & CRO Sir.

We are really greatfull for your exceptional leadership, mentorship & continuous guidance.

Your kind guidance & blessings will always be in our remembrance.

Have we understood...