Tuesday, August 5, 2025

সূরা আল-আ‘রাফের আয়াত ১৭৫-১৭৬ এর পূর্ণ প্রসঙ্গ, ঐতিহাসিক পটভূমি, আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, এবং শিক্ষা (ইবরত)।

📖 আয়াত: সূরা আল-আ‘রাফ (৭:১৭৫-১৭৬)

🔹 আয়াত ১৭৫:

> وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱلَّذِىٓ ءَاتَيْنَـٰهُ ءَايَـٰتِنَا فَٱنسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَـٰنُ فَكَانَ مِنَ ٱلْغَاوِينَ

অনুবাদ:
তুমি তাদেরকে সেই ব্যক্তির কাহিনী শুনাও, যাকে আমি আমার নিদর্শনসমূহ দিয়েছিলাম, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়ে গেল। ফলে শয়তান তাকে অনুসরণ করল এবং সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

🔹 আয়াত ১৭৬:

> وَلَوْ شِئْنَا لَرَفَعْنَـٰهُ بِهَا وَلَـٰكِنَّهُۥٓ أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ ۚ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ إِن تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَث ۚ ذَّٰلِكَ مَثَلُ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا ۚ فَٱقْصُصِ ٱلْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

অনুবাদ:
আমি চাইলে তাকে এ নিদর্শনসমূহের মাধ্যমে মর্যাদার শিখরে উন্নীত করতাম। কিন্তু সে তো পার্থিব জীবনে লিপ্ত হলো এবং তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করল। অতএব তার দৃষ্টান্ত হলো কুকুরের মতো—তুমি যদি তাকে তাড়াও, সে হাঁপায়; আর যদি ছেড়ে দাও, তবুও সে হাঁপায়। এটি সেই জাতির উপমা যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। সুতরাং, তুমি এই কাহিনী বর্ণনা করো, যাতে তারা চিন্তা করে।

📚 ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

এই আয়াত দুটি এক বিশেষ ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। তাফসিরবিদগণের মতে, এই ব্যক্তি ছিল বালআম ইবনে বাউরা নামে একজন আলেম, যিনি মুসা (আ.)-এর সময়কালে বসরার কাছাকাছি বা শাম অঞ্চলে বাস করতেন।

আল্লাহ তাকে বিশেষ জ্ঞান ও নাম দান করেছিলেন, এমনকি তাঁর দোয়া কবুল হতো।

কিন্তু যখন মুসা (আ.) তার কওমকে নিয়ে সেই অঞ্চলে আসেন, তখন তার জাতির লোকেরা বালআমকে প্ররোচিত করে বলেন: “তুমি মুসার বিরুদ্ধে দোয়া করো”।

প্রথমে সে রাজি হয়নি, কিন্তু পরে দুনিয়াবী স্বার্থ ও লোভের কারণে সে আল্লাহর জ্ঞানকে বিকিয়ে দিয়ে মুসা (আ.) ও তাঁর কওমের বিরুদ্ধে দোয়া করেছিল।

তখন সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়, এবং চিরন্তন পথভ্রষ্টতায় নিপতিত হয়।

🔍 আয়াত বিশ্লেষণ

✳️ "آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا"

আল্লাহ তাকে তাঁর আয়াত (জ্ঞান, হিকমাহ, দোয়া কবুলের শক্তি) দিয়েছিলেন।

✳️ "فَٱنسَلَخَ مِنْهَا"

সে নিজেই সেচ্ছায় আল্লাহর আয়াত থেকে বের হয়ে গেল (উপেক্ষা করল, ছেড়ে দিল)। এটি জামা খুলে ফেলার মতো, মানে সম্পূর্ণভাবে ছাড় দেওয়া।

✳️ "فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَـٰنُ"

ফলে শয়তান তাকে অনুসরণ করল এবং তাকে গোমরাহিতে ফেলল।

✳️ "أَخْلَدَ إِلَى ٱلْأَرْضِ"

সে দুনিয়াতে আসক্ত হলো। ‘আখলাদ’ মানে মাটি বা নিচের দিকে ঝুঁকে পড়া—অর্থাৎ দুনিয়ার লোভ, ক্ষমতা, টাকা, খ্যাতির জন্য নিজের ধর্মীয় মর্যাদা বিসর্জন দেওয়া।

✳️ "كَمَثَلِ ٱلْكَلْبِ"

তাকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে—একটি প্রাণী যার হাঁপ ধরা সব সময়ই চলে: তুমি তাকে মারো, অথবা না মারো—সে হাঁপাবে। এমন ব্যক্তি শয়তান ও প্রবৃত্তির গোলাম, কখনো থামে না, কখনো সন্তুষ্ট হয় না।

🧠 শিক্ষণীয় বিষয় (ইবরত):

❌ শুধু জ্ঞান থাকলেই চলবে না আমল না থাকলে, জ্ঞান মানুষকে আরো নিচে নামিয়ে দেয়।

🛑 দ্বীনের জ্ঞান বিক্রি হারাম আল্লাহর আয়াত, হাদীস বা ইসলামী শিক্ষা দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থ (পদ, টাকা, স্বীকৃতি) অর্জন করা এক ভয়ংকর অপরাধ।

🔥 দুনিয়াপ্রেম ধ্বংস করে দুনিয়ার মোহ মানুষকে পথভ্রষ্ট করে, যদিও সে আগে ধার্মিক ছিল।

কুকুরের তুলনা : কুকুর সব সময় হাঁপায়—এটা এমন এক আচরণ যা থামে না; তেমনি এই শ্রেণির মানুষ সব সময় চাহিদা, লোভ ও প্রবৃত্তির দাসত্ব করে।

🧭 সতর্কতা যারা দ্বীনের দায়িত্বে আছেন (আলেম, দাঈ, ইমাম, শিক্ষক) তাদের জন্য বড় সতর্কবার্তা—আল্লাহর জ্ঞানকে কখনো দুনিয়ার বিনিময়ে ব্যবহার করা যাবে না

📌 উপসংহার:

এই আয়াত আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে,

> আল্লাহর এলেম একটি আমানত।
এই এলেম শুধু জানার জন্য নয়—বরং আমলের জন্য।
যদি কেউ এটি বিকিয়ে দেয় দুনিয়ার স্বার্থে, তার পরিণাম পশুর চেয়েও জঘন্য।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাঁর পথে দৃঢ়ভাবে চলার তাওফিক দিন।
আল্লাহুম্মা আমীন।

Monday, August 4, 2025

Successfully completed a two-day training titled "Elevate: Leadership Through Emotional Intelligence"

Alhamdulillah, I’m grateful to have successfully completed a two-day training titled "Elevate: Leadership Through Emotional Intelligence", organized by the #UCB Learning and Development Center (LDC) conducted by the master trainer Vanitha Choudhari from RadicalEdge Learning Consultants

This insightful journey deepened my understanding of how emotional intelligence plays a vital role in effective leadership, team engagement, and decision-making — especially in today's fast-paced and complex organizational environments.

Looking forward to applying these learnings to lead with empathy, resilience, and impact, InShaAllah.

#LeadershipDevelopment #EmotionalIntelligence #ContinuousLearning #UCB


Wednesday, July 30, 2025

The second issue of “Safolyo Songkolon”, the quarterly magazine of United Commercial Bank PLC (UCB), has been officially published today...

Our heartfelt thanks to the entire editorial team for their tireless efforts, keen attention to detail, and incredible creative spirit. This publication stands as a testament to their dedication and teamwork.

A special note of appreciation for featuring our remarkable achievement—Team UCB being crowned back-to-back National Cyber Drill Champion! 🏆

Saturday, July 5, 2025

Kudos to the #UCB Information Security Team for emerging as Back-to-Back National Cyber Drill Champions (2023 & 2024)! 🏆🏆

Kudos to the #UCB Information Security Team for emerging as Back-to-Back National Cyber Drill Champions (2023 & 2024)! 🏆🏆

We extend our heartfelt gratitude to UCB Management for their constant support, strategic vision, and encouragement throughout this journey.

Please keep us in your prayers as we continue striving to uphold the highest standards of cyber security.

#TeamUCB #CyberDrillChampion #CybersecurityExcellence #BGD #eGOVT #CIRT #NCSA #UCB

Sunday, June 15, 2025

সাত প্রকার মানুষ থেকে দূরে থাকুন...

সতর্ক থাকুন!
এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে
(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)

১. ঠেলাগাড়ি মানুষ (Wheelbarrow People)
এরা সেই মানুষ, যারা নিজের জীবনের সমস্যাগুলো নিজেরা সামলাতে চায় না। আপনি যতই সাহায্য করুন না কেন, সব ভারই যেন আপনাকেই বইতে হবে। তারা চায়—আপনি তাদের খাওয়ান, চলার পথ দেখান, আবার পেছন থেকে ঠেলেও নিয়ে যান।
উদাহরণ: ধরো তোমার এক বন্ধু আছে, প্রতিবার প্রজেক্ট শুরু হলে বলে, “তুই তো ভালো জানিস, তুই কর, আমি ফাইনাল প্রেজেন্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকব।” সে ফল পেতে চায়, কিন্তু পরিশ্রম করতে চায় না।

শিক্ষা: যেসব সম্পর্ক শুধু একতরফা দায়িত্বের, সেগুলো সময়মতো চিনে সরে দাঁড়াও।

২. মশা মানুষ (Mosquito People)
এই মানুষরা আসে শুধু তোমার ভালোটা শুষে নিতে। যখন তোমার টাকা, সময়, যোগাযোগ, জনপ্রিয়তা বা সাফল্য দরকার হয়, তখন ওদের দেখা যায়। পরে সুযোগ পেলেই কটূক্তি করে, গুজব ছড়ায়।
উদাহরণ: ভাবো, কেউ তোমার কাছ থেকে রেফারেন্স চায় চাকরির জন্য। তুমি সাহায্য করো। পরে তাকে নিজের প্রয়োজনে ফোন দিলে বলে, “আসলে ব্যস্ত ছিলাম।” অথচ অন্যকে বলছে, “ও তো শুধু নিজ স্বার্থ দেখে!”

শিক্ষা: যাদের উপস্থিতি কেবল নিজের লাভের সময়েই দেখা যায়, তাদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. বাঁধাই কাঠামো মানুষ (Scaffolding People)
তারা এক সময় সাহায্য করেছে, কিন্তু এখন চায় তুমি সব সিদ্ধান্তে তাদের অনুমোদন চাও। তারা তোমার সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—মনে করে, তুমি চিরকাল তাদের ঋণী।
উদাহরণ: যেমন কোনো আত্মীয় তোমার পড়ালেখার খরচে একবার সাহায্য করেছিল। এখন যখন তুমি স্বাধীন হতে চাও, তখন বলে, “আমার মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।”

শিক্ষা: কৃতজ্ঞ হও, কিন্তু কারও ছায়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলো না।

৪. কুমির মানুষ (Crocodile People)
এই মানুষরা মিষ্টি ব্যবহার করে তোমার মন জয় করে, তারপর গোপন তথ্য জেনে রাখে। সুযোগ পেলেই সেই তথ্য দিয়ে তোমার ক্ষতি করে।
উদাহরণ: ধরো, তুমি কাউকে বলেছিলে—তোমার পরিবারে কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। পরে একদিন ওর সঙ্গে ঝামেলা হলে, সে এই কথাই অন্যদের সামনে এনে তোমাকে হেয় করে।

শিক্ষা: কারও মুখের মাধুর্যে বিভ্রান্ত হয়ো না, আগে যাচাই করো—সে মানুষ না মুখোশধারী।

৫. গিরগিটি মানুষ (Chameleon People)
এরা বাইরে থেকে বন্ধুর মতো—তোমার খোঁজও রাখে, পাশে হাঁটেও। কিন্তু আসলে তোমার প্রতিটি সাফল্য ওদের পুড়িয়ে দেয়। তোমার অর্জনে ওদের মুখ বন্ধ, কিন্তু তোমার সামান্য ভুল হলে ওদের মুখে ফেটে পড়ে উপহাস।
উদাহরণ: তুমি একটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেলে—ও মুখে বলে “ভালো হয়েছে”, কিন্তু ফেসবুকে তোমার ভুল বানান তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়।

শিক্ষা: যে মানুষ তোমার আনন্দে মুখ গোমড়া করে, তাকে বন্ধু ভাবলে চলবে না।

৬. না-বলা মানুষ (Naysayer People)
তারা কখনোই তোমার স্বপ্নে বিশ্বাস রাখবে না। বরং তারা এতটাই নেতিবাচক যে, তুমি কিছু শুরু করার আগেই মনোবল হারিয়ে ফেলবে।
উদাহরণ: তুমি যদি বলো, “আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাই”, ও বলবে, “ওসব কেউ দেখে না”, “তুই পারবি না”, “সার্চ রেজাল্টে আসবে না”—অথচ তারা নিজে কোনো চেষ্টা করে না।

শিক্ষা: নিজের স্বপ্নকে বাঁচাতে চাইলে, স্বপ্নহীনদের থেকে নিজেকে বাঁচাও।

৭. আবর্জনা ঠেলা মানুষ (Garbage Pusher People)
তারা সবসময় নেতিবাচক খবর ছড়ায়—কখনো কিছু ভালো বলতে জানে না। তোমার আশেপাশের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে হতাশা আর ভয়ের গল্প ছড়িয়ে।
উদাহরণ: তুমি যদি একটা ভালো উদ্যোগের পরিকল্পনা করো, সে বলবে “বাজার খারাপ”, “সব জিনিস লস”, “এই দেশে কিছু হয় না”—এমন কথা শুনিয়ে চেষ্টার আগেই সাহস কেড়ে নেবে।

শিক্ষা: যাদের চিন্তায় কেবল অন্ধকার, তারা তোমার ভেতরের আলো নিভিয়ে দিতে পারে—তাদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

শেষ কথা:
জীবনের প্রতিটি ধাপে কার সঙ্গে পথ চলছেন—এটাই ঠিক করে আপনি কত দূর যেতে পারবে। সম্পর্ক বেছে নিন মাথা ঠাণ্ডা রেখে, হৃদয় উষ্ণ রেখে। সবকিছুতে ভালোবাসা দিবেন, কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দিবেন না এমন কাউকে, যে আপনার ডানাকে কেটে নিজের ছায়া বাড়াতে চায়।

©সংগৃহিত

Saturday, June 14, 2025

সূরা যুমার (৩৯)-এর ৫৩ নম্বর আয়াতটি হলো কুরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক, হৃদয়ছোঁয়া ও ক্ষমাপরায়ণতার বার্তা বহনকারী আয়াতগুলোর একটি।

⚠️ সতর্কতা: ইসলামিক পোস্ট - মতভেদ থাকতে পারে, দয়া করে নিজ বিবেচনায় পড়ুন।

সূরা যুমার (৩৯)-এর ৫৩ নম্বর আয়াতটি হলো কুরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক, হৃদয়ছোঁয়া ও ক্ষমাপরায়ণতার বার্তা বহনকারী আয়াতগুলোর একটি। আয়াতটি হচ্ছে:

> قُلْ يَا عِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

_উচ্চারণ:_
Qul yā ʿibādiya alladhīna asrafū ʿalā anfusihim lā taqnaṭū min raḥmati-llāh, inna-llāha yaghfiru-dh-dhunūba jamīʿā, innahu huwa-l-ghafūru-r-raḥīm

অনুবাদ (তাফসিরভিত্তিক):
বলুন (হে মুহাম্মাদ ﷺ): “হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছো (অর্থাৎ পাপ করে ফেলেছো), তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব ধরনের পাপ ক্ষমা করে থাকেন। তিনি তো পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”

🌟 তাৎপর্য

১. আল্লাহর বার্তা সরাসরি পাপীদের উদ্দেশ্যে:
এই আয়াতে আল্লাহ পাপীদের "يا عبادي" (হে আমার বান্দাগণ) বলে সম্বোধন করেছেন, যা এক গভীর মমত্ব ও দয়ার পরিচয়। এটি পাপীদের প্রতি ঘৃণা বা বর্জনের নয়, বরং আহ্বানের ভাষা।

২. ‘আসরাফু’—অর্থাৎ সীমালঙ্ঘনকারীরা:
এরা কেবল পাপী নয়, বরং এমন লোক, যারা বহুবার ও মারাত্মকভাবে নিজের উপর জুলুম করেছে—অর্থাৎ বহুবার পাপ করেছে। এমন লোকদেরও নিরাশ না হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৩. ‘لا تَقْنَطُوا’ — নিরাশ হয়ো না:
এটি একেবারে নিষেধাজ্ঞার ভঙ্গিতে এসেছে। নিরাশ হওয়া একপ্রকার শয়তানের প্ররোচনা। আল্লাহর দয়ার ব্যাপকতা এতটাই, যে কোনো পাপ (তাওবা না করলে শিরক ব্যতীত) তিনি ক্ষমা করতে প্রস্তুত।

৪. ‘يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا’—সব পাপ ক্ষমাযোগ্য:
এখানে “সব পাপ” বলার মাধ্যমে মানুষের অন্তরের মধ্যে আশা সৃষ্টি করা হয়েছে। কেউ যদি চিন্তা করে, "আমি এত বড় পাপ করেছি যে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না" — তাহলে সে যেন জেনে নেয়, আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করেন, যদি বান্দা খাঁটি তাওবা করে।

৫. ‘هُوَ الغَفُورُ الرَّحِيم’ — তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু:
আয়াতের শেষাংশ আবার আল্লাহর দুটি গুণনামের মাধ্যমে শেষ হয়েছে—ঘন ঘন ক্ষমা করা ও সীমাহীন দয়া করা। যা আয়াতের বার্তাকে আরও দৃঢ় করে।

🕋 এই আয়াতের প্রভাব

একজন হতাশ পাপীও যেন জানে, তার জন্যও আল্লাহর দরজা খোলা।

এটি ইসলামের আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এই আয়াত অনেককে আত্মহত্যা, চরম হতাশা বা আল্লাহর রহমত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া থেকে রক্ষা করেছে।

📌 বাস্তব জীবনে প্রয়োগ:

পাপ করে ফেললে হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা।

কাউকে তার পাপের কারণে ঘৃণা না করা, বরং আল্লাহর রহমতের কথা মনে করিয়ে দেয়া।

নিজেকে গোনাহগার ভেবে আল্লাহর দরজায় খাঁটি তাওবার সাথে ফিরে যাওয়া।