বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে (লিপিয়ার হলে ৩৬৬ দিন) বিভিন্ন দিন বিভিন্ন দিবস পালিত হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই দিবসগুলো বিশ্ব পুঁজিবাদীদের একটি অভ্যর্থ মারণাস্ত্র। মানুষের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে অর্থ ইনকামের একটি বড় উৎস। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। যদিও নানা মুনির নানা মত আছে, আমরা সকলের মতামতকেই সম্মান প্রদর্শন করব।
পহেলা মে বা মে দিবস বা May Day ছাড়া বাকি সবগুলো দিবসই আমার কাছে গতানুগতিক মনে হয়, যার কারণ আমি উপরেই উল্লেখ করেছি। এবার আসা যাক পহেলা মে কেন আমার কাছে একটু অন্যরকম, এখানে অনেকটাই ইমোশন জড়িত। পদার্থ বিজ্ঞানে পড়েছিলাম, শক্তির যেমন ক্ষয় নেই, বরং এক রূপ হতে আরেক রূপে স্থানান্তরিত হয়। যদিও পদাধিকার বলে কর্মকর্তা, তদুপরি কাজের বিনিময়েই খাদ্য এ কথাটি অনস্বীকার্য। কাজের বিনিময়েই মূল্যায়ন, হয় সম্মুখে বা পশ্চাতে, অথবা বর্তমান বা ভবিষ্যতে। শক্তির রূপান্তরের মতই কাজের বা কাজ করার ধরনের রূপান্তর বলা চলে।
অবশ্য কিছু নেতাগোত্রিয় লোকজন আছে, যারা বিভিন্ন জায়গা বা ফোরামে মুখরোচক লেকচার বা বিভিন্ন বুলি আওড়ায় এবং সব সময় নিজেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সকলের কাছে উপস্থাপন করতে চায়। তারা এই পহেলা মে বা মে দিবস বা May Day-এর আওতার মধ্যে পড়বে বলে আমি মনে করি না। যদিও এইটাও আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
আমার মত যারা কামলা আই-মিন কাজের মানুষ বা কাজকে ভালোবাসেন, তাদের সকলকে পহেলা মে বা মে দিবস বা May Day-এর শুভেচ্ছা...
No comments:
Post a Comment